সর্দি-ঠান্ডা-কাশি এড়াতে নিয়মিত খান এসব খাবার

শেয়ার করুন

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। এর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি তো রয়েছেই। এগুলোর থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধের উপর ভরসা রাখেন। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে অনেকেই ওষুধ খেতে চান না।

সর্দি-ঠান্ডা-কাশি: সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, যদি ৬টি খাবার বুঝে শুনে খেতে পারেন এবং নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন, তা হলে খুব সহজেই সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা, গলা খুসখুস। এক নজরে দেখে নিন সেই খাবারগুলি কী কী।

কলা: কলা একটি নন-অ্যাসিডিক খাবার, যা গলা খুসখুসে ভাব কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এ ছাড়াও কলা একটি লো গ্লাইসেমিক খাবার, যা ঠান্ডা-সর্দি ভাব কমায়।

আদা চা: প্রাচীনকাল থেকেই গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয় আদা চা। ২ কাপ জলে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

লেবু ও মধুর মিশ্রণ: সমপরিমাণ লেবুর রস এ মধুর মিশ্রণ গলার ভিতরের সংক্রমণ কমায়।

ডিমের সাদা অংশ: ঠান্ডা লেগে গলায় ব্যথা হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এই সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে ডিমের সাদা অংশ। কারণ ডিমের সাদা অংশ গলার ভেতরের গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং সংক্রমণ দূর করে।

চিকেন স্যুপ: সর্দি ও খুসখুসে কাশি কমাতে গরম পানীয়ের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। এই তালিকার মধ্যে পড়ে চিকেন স্যুপও। কারণ চিকেন স্যুপে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা গলা খুসখুসের জন্য দায়ী ভাইরাস এবং মিউকাস কমায়।

সেদ্ধ গাজর: গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্বাভাবিক কারণেই চট করে সর্দি-কাশির মতো রোগগুলো ধরে না। তবে ঠান্ডা লাগলে কাঁচা গাজর না খেয়ে সেদ্ধ করেই খাওয়া উচিত।

সূত্র : এবেলা

(Visited 66 times, 1 visits today)

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *