মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। মক্কার হেরা গুহায় কোরআনের প্রথম আয়াত ‘ইকরা’ অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে সবার জন্য কোরআনের বিধান মানা অপরিহার্য। এর বাইরে অন্য কিছু অবলম্বন বা ভাবার কোনও সুযোগ নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘এটা সে কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত। -(সুরা বাকারা, আয়াত, ২)
কোরআন পূর্ববর্তী সব আসমানী কিতাব সত্যায়ন করে এ বার্তা দিয়েছে যে, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ওহী নাজিল হওয়ার পর থেকে ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)। -(সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৯)
কোরআনে অবতীর্ণ বিধানগুলো কোনও বাক্য বিনিময় ছাড়া যারাই মেনে নেবে দুনিয়া আখেরাতে আল্লাহ তাদের বিশেষ সম্মান দেবেন। এ বিষয়ে হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমাদের নবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা এই কিতাব দ্বারা অনেক জাতিকে মর্যাদায় উন্নীত করেন আর অন্যদের অবনত করেন। অর্থাৎ যারা এই কিতাবের অনুসারী হবে, তারা দুনিয়ায় মর্যাদাবান এবং আখিরাতে জান্নাত লাভ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৭৮২)
কোরআনকে সম্মানকারীদের আল্লাহর পরিজন বলে সম্বোধন করা হয়েছে হাদিসে। ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিজন। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তিলাওয়াতকারীগণ আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২১৫)
এর বিপরীতে যারা কোরআনের অবমাননা করবে আল্লাহ তায়ালা তাদের কঠিন শাস্তি দেবেন। হাদিসে বলা হয়েছে, … আর যারা একে (কোরআন) অস্বীকার করবে, তারা দুনিয়ায় লাঞ্ছিত এবং পরকালে জাহান্নামে পতিত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৭৮২)