আশরাফ পিন্টুঃ অনেক চেষ্টা করেও যখন অজয়কে মুনির কাছে নিয়ে যেতে পারল না, তখন অপর তিন বন্ধু ওকে রেখেই দীক্ষা গ্রহণ করতে চলে গেল। দীক্ষার মূল মন্ত্র হলো ‘মানুষ থেকে পশুতে রূপান্তর’। এরপূর্বে নদের চাঁদ নামক এক ব্যক্তি শুধু কুমিরে রূপান্তর হবার মন্ত্র শিখেছিল। এখন তারা শুধু কুমির নয়, বাঘ, ভালুক, নেকড়ে, হায়েনা সব ধরণের পশুতে রূপান্তর হবার মন্ত্র শিখবে।
এক বছর দীক্ষা নেবার পর সত্যি সত্যি ওরা পশু হবার মন্ত্র শিখে নিজ এলাকায় ফিরে এলো। এসেই অজয়কে ডেকে বলল, বন্ধু তুইতো গেলি না কিন্তু আমরা গুরুর কাছে থেকে বিভিন্ন ভয়ংকর পশু হবার দীক্ষা নিয়ে এসেছি। এখন তোদের সবাইকে দেখাব কেমন করে আস্তে আস্তে পশু হই আমরা।
সত্যি সত্যি ওরা তিন বন্ধু ‘মানুষ থেকে পশু’ এবং ‘পশু থেকে মানুষে’ পরিণত হতে লাগল। এভাবে কেটে গেল কয়েক বছর।
একদিন অজয় ওদের ডেকে বলল, ‘তোরা এভাবে মানুষ থেকে পশু, পশু থেকে মানুষে রূপান্তরিত হচ্ছিস কেন? আমার তো মনে হয় এর পর থেকে তোরা আর মানুষে ফিরে আসতে পারবি না।’
অজয়ের কথা শুনে ওরা মৃদু হেসে বলল, ‘না হলেও ক্ষতি নেই’।
প্রথম প্রথম ওরা অবশ্য এমন কথা বলত না।
সত্যি সেদিন তারা পশুতে রূপান্তরিত হবার পর আর মানুষে ফিরে আসতে পারল না..।